ট্রাইব্যুনালে আজ জবানবন্দি দেবেন রাজসাক্ষী মামুন

গেজেট প্রতিবেদন

জুলাই-আগস্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেবেন আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মঙ্গলবার দুপুরে তার জবানবন্দি গ্রহণ করবেন আদালত।

এর আগে গত ২৪ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন চৌধুরী মামুন। সেখানে তিনি বলেন, আমি ১৯৮৬ সালে বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে যোগদানের করি। আমি ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি, মহাপরিচালক র‌্যাব ও পুলিশের আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। আমাকে দুইবার চুক্তিভিত্তিক আইজিপি হিসেবে নিয়োগ করা হয়। আমি মোট ২২ মাস আইজিপি’র দায়িত্ব পালন করি। গত বছর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সরকারের পতন হলে আমি ঢাকা সেনানিবাসে আশ্রয় গ্রহণ করি। পরবর্তীতে আমাকে বেশকিছু মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, সরকারের ও বাংলাদেশ পুলিশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করায় আমি রাষ্ট্রীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অবহিত আছি এবং আমার দায়িত্বের কারণে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় আন্দোলন দমন, পুলিশের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ, বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও মৃত্যু, আহতসহ উক্ত ঘটনাপ্রবাহে আমি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি। আমি সরকারের পতনসহ জনগণের আন্দোলন ও সংগ্রামের প্রতি ব্যক্তিগতভাবে সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে ও বিবেকের তাড়নায় আমি স্বেচ্ছায় এই জবানবন্দি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।

জবানবন্দিতে মিস্টার মামুন আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় আন্দোলন দমনে মারণাস্ত্র ব্যবহার, হেলিকপ্টার থেকে গুলি ও ব্লক রেইডের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে হয়েছিল। আন্দোলন দমনে লেথাল উইপেন বা মারণাস্ত্র ব্যবহারে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান হাবিব ও ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কার্যকর মনে করায় হারুনকে জ্বীন বলে ডাকতেন আসাদুজ্জামান কামাল। গত বছরের ১৯শে জুলাই থেকে প্রায় প্রতিরাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় বৈঠক হতো তাদের। বৈঠকে দুইজন সচিব, এসবি প্রধান মনিরুল, ডিবির হারুন, র‌্যাবের মহাপরিচালক, আনসারের ডিজি, এনটিএমসির জিয়াউল আহসানসহ অনেকে উপস্থিত থাকতেন। মূলত এ বৈঠকেই সব পরিকল্পনা হতো।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন